মালদা

মিডেমিল সেন্টারের ডাল চুরি করতে গিয়ে গ্রামের মহিলাদের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ল সেন্টারের হেল্পার

একেই বলে চোরের মায়ের বড় গলা। চুরি করার পরে এক আইসিডিএস কর্মীকে  গ্রামবাসীরা হাতেনাতে ধরলে, পরে ওই কর্মী উল্টো হুমকি দেয় গ্রামের মহিলাদের। ঘটনাটি ঘটেছে গাজোলের গরুহাটি শ্মশান কৃষ্ণপল্লি আইসিডিএস স্কুলে। গ্রামের মহিলাদের অভিযোগ প্রায় বছর খানেক ধরে দেখছি আইসিডিএস এর হেল্পারটি প্রায় দিন ডাল, ডিম ও অন্যান্য খাবার জিনিস সেন্টার থেকে চুরি করে নিয়ে যায়। এর আগে এক বার ক্লাবের সদস্যরা তাদেরকে শাসন করে যেন তারা এমন কাজ না করে তাতে রাজিও হয়ে যায় ওই কর্মীরা। কিন্তু তার পরেও কোন ফল হয় নি প্রায় প্রতি দিন কিছু না কিছু খাবারের জিনিস সেন্টার থেকে চুরি করে নিয়ে যায় আইসিডিএস এর হেল্পার মুনি দাস বলে অভিযোগ করেন গ্রামের মহিলারা। আজ হাতেনাতে গ্রামের এক মহিলা ধরে ফেলে আইসিডিএস এর হেল্পার মুনি দাসকে।

            গ্রামের এক মহিলা মৌমিতা দাস জানান, আইসিডিএস এর হেল্পার মুনি দাস প্রায় খাবার ও খাবারের জিনিস চুরি করে নিয়ে যায়। এর আগে তাকে অনেক বার বলা হয়েছে। কিন্তু কোন ফল হয়নি। বরং সে উল্টো হুমকি আমাদেরকে দেয়-- "বেশ করেছি চুরি করেছি, আর শুধু আমি একা নয় আইসিডিএস এর দিদিমুনিও এর ভাগ নেন।"  মৌমিতা দাস বলেন খাবার ঠিক ভাবে রান্না করে না। আবার খাবারের মধ্যে পর থেকে জল মিশিয়ে দেয় বেশী করার জন্য। সপ্তাহে প্রায় ৩ দিন বন্ধ থাকে সেন্টার। কোন কিছু বলা হলে পাল্টা জবাবে সেই হেল্পার মুনি দাস গ্রামের মহিলাদের বলেন সেন্টারের খিচুরি খাওয়ানোর জন্য ছেলে মেয়েদের জন্ম দিয়েছ। সে এও বলে তার নামে যদি কেউ অভিযোগ করে তাহলে সে তার সুপারভাইজার দিদির কথা বলে গ্রামের মহিলাদের যা তা ভাষায় কথা বলে।

            আজ সকালে সে আবার প্রায় ৫ কেজি মুসুর ডাল চুরি করে ব্যাগে করে নিয়ে যাচ্ছিল সে সময় তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে গ্রামের এক মহিলা মৌমিতা দাস। এরপর সে মৌমিতা দাসকে বলে তাকে ছেড়ে দিতে তাহলে এরপরের দিন সে তাকে ৫ কেজি ডাল দিবে। তার কোন কথা না শুনে মৌমিতা দাস গ্রামের অন্যান্যদের ডাক দেয়। তখন সেই হেল্পারটি সেখান থেকে পালিয়ে যায়। আর ওই সেন্টারের দিদিমুনি কল্পনাকে গ্রামে এক ব্যাক্তির বাড়ি থেকে ধরা হয়। তাদের দুই জনের বাড়ি কৃষ্ণপল্লী লক্ষ্মী তলা কোচুয়া গ্রাম। গ্রামবাসীদের অভিযোগ সেন্টারের দিদিমুনিকে এই গ্রাম থেকে বদলি করা হক আর হেল্পার কেউ।